Friday, July 03, 2009

মলিন মর্ম মুছায়ে


আগে যা ঘটেছে

গ্রামের হেলথ-সেন্টারে আছে এক পাগল ডাক্তার৷ মল মূত্র থুতু রক্ত মাইক্রোস্কোপের তলায় স্লাইডে ফেলে সারাদিন মুহ্যমান থাকেন ডাক্তার৷ শূন্যতা, নীরবতার ছবি ভেসে ওঠে একের প'রে এক৷ তার সামনে খুলে যেতে থাকে বিমূর্ততার এক জগত্৷
এ গল্প জানে শুধু রাজকুমারী৷ বিশাল ভাঙনে ঝরঝর এক রাজবাড়িতে আছে কেবল রাজা আর রাজকুমারী৷ রাজাকে ধরেছে এক গোপন যৌনব্যাধি৷ বয়েস হয়েছে৷ এই রোগ নাকি সাঙ্ঘাতিক, সকলেই ত্যাগ করেছে তাদের৷ ডাক্তারের রাজবাড়িতে অবাধ প্রবেশ৷ রাজকুমারী তার একাকিত্ব কাটাতে সঙ্গী হয় ডাক্তারের৷ রাজকুমারীর মনে হয় প্রাণহীণ এক মানুষের সঙ্গে তার যাত্রা৷ সন্ধেবেলা গির্জায় গেলে তবু কয়েকজনকে পাওয়া যায়৷ জলের মধ্যে এক দ্বীপ, তাতে ছোট্ট এক গির্জায় থাকেন ফাদার রিভস৷ সকালে বাজার করে ফেরেন নিজের হাতে নৌকা চালিয়ে৷ একটু বাদে আসে চার-পাঁচটা শিশু৷ তাদের ইংরাজি পড়ান রিভস৷ সন্ধ্যাবেলার নৌকা নিয়ে আসে কিছু প্রেমিক প্রেমিকাকে৷ এই সময় গির্জায় সারসার মোম জ্বলে ওঠে৷ সবাই বিদায় নিলে, দূরবীণে চোখ লাগিয়ে দেখেন রাতের আকাশ, কোথায় আছেন তিনি? শহরে যাওয়ার বাস একটাই৷ সেটাই যায় আসে সারাদিনে চার বার৷ জানালায় বসে ছোট্ট মেয়ে কুসুম অপেক্ষা করে বাবার ফেরার৷ কয়েক বছর আগে পাইলট বাবা গেছে যুদ্ধের মহড়ায়৷ তখন সে ভারী ছোট্টটি ছিল, বাবাকে মনেও পড়ে না সেভাবে৷ তার মা কল্যাণী তাকে ঘুম পাড়ায় তাকে বাবার গল্প বলে৷ কিন্তু সে কেমন করে চিনবে তাকে, তার কল্পনার চেহারা কুসুমের প্রিয় মানুষদের ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়, কিন্তু কারুর মধ্যেই খুঁজে পায় না তার নিজের বাবাকে৷






সিনেমার জন্য ভাবতে ভাবতে লেখা হল চিত্রনাট্য, ভূমিকা ৷ অনেক পরে লেখা হল গল্পের মতন ৷ ভেবেছিলম ভাষা হবে মিনিমাল, দেখা যাক সিনেমা লেখা যায় কিনা ৷ পছন্দ হল না, ফেরত এল এক পত্রিকা থেকে ৷ তারও অনেক বছর পর ছাপতে দি ৷ প্রকাশিত হয়েছে গল্প সংকলন " বন্দুকের নলই ক্ষমতার প্রকৃত উৎস"এ ৷ ওয়েবে পবেন বাংলালাইভ শারদীয়ায় ৷

http://www.banglalive.com/bisheshhasamkhaa/sharadiya1414/ekakiChand01.htm

No comments: