Sunday, August 15, 2010

সাপলুডু


সেই দেশে সকলেই ছিল খেলায় মত্ত প্রজারা সারাদিন ঘরে বসে হরেক কিসিমের সাপলুডু খেলত, কারুর কোন কাজ করা লাগত না সেই রাজ্যের রাজা ছিলেন সাপলুডু খেলায় মহা ওস্তাদ খেলতে বসলে তার আর দিন রাতের হিসাব থাকত না তাই খেলার জন্য সবসময় আলোয় ঝলমল করত প্রাসাদ বিদ্যুতের ছিল অফুরন্ত যোগান লোডশেডিং বলে কোন শব্দ তার কোনদিন শোনেইনি পিঁপড়েরা মাটি খুড়লেই উঠে আসত পেল্লাই পেল্লাই কয়লার চাঙড়, সারা দেশেই তা ছিল অফুরন্ত এছাড়া পারমানবিক বিদ্যুৎ আর রাসায়নিক বিদ্যুৎ ছিল অপারেশন জলভাত

বিভিন্ন দেশ থেকে রানী বাছাই করে আনা সাপলুডু খেলিয়ে খেলিয়ে রাজপ্রাসাদে ৯৯ জন রানীদের ছিল ঠিক ১০০টা ঘর রাজা একেকদিন খেলতে বসতেন একেকজন রানীর সঙ্গে ছক্কা থেকে পুট যাই পড়ত সেই হিসাবে রানীর ঘর বদলে যেত কেউ মই বেয়ে তরতর করে উপরে উঠত আবার আবার কেউ সাপের মুখে পড়ে সাঁ করে নেমে যেত এতটুকু ভুলচুক তার সহ্য হোত না
রাজা ভারী আমোদ পেতেন রানীদের সঙ্গে সাপলুডু খেলে কিন' তার নিয়ম ছিল খুব কড়া

বিস্তারিত পড়ুন- এইখানে

এইটাই বোধ হয় এই সিরিজের প্রথম লেখা। ফর্ম বদলাতে চাইছিলাম কনসাসলি, এই দাঁড়াল, এবং পরপর ছোটবড় মিলিয়ে খান দশেক লিখেছি বাংলাদেশে বসে একবছরে। আপাতত এটি সাপলুডু ওয়েবসাইটটির ভূমিকা মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্যে ছাপাও হয়েছিল সাপলুডোর ছাপানো কোর্টের পেছনে, বিক্রিবাটাও হয়েছিল খান কতক সেই ২০০৮ এ ছবির হাট, শাহবাগ ও চারুকলার বৈখাখীমেলায় সাপলুডু পারফরম্যান্সের সময়। জীবন সত্যিই বিচিত্র।

No comments: