Sunday, August 15, 2010

ঘু ঘুড়ি ঘুড্ডি বাবা


আকাশ আস্তে আস্তে ভরে উঠল লাল নীল হলুদ কমলা বেগুণী গোলাপী সবুজ রঙে রঙ বেরঙের ঘুড়িতে আকাশ যেন ছিট কাপড়ের জামা অ্যাসেম্বলিতে সভা বসলে হয় কবিগান আর তরজা, সে এক অপরূপ ব্যাপার সেনারা দৌড়ে এল প্রধানমন্ত্রীর কাছে ম্যাডাম সারা আকাশ ঘুড়িতে ঢেকে গেছে, হেলিকপ্টার-প্লেন কিস্যু ওড়ানো যাচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর সেদিন এমনিতেই ঘুম ভাল হয়নি, বিশ্রী একটা স্বপ্ন দেখেছেন গোটা আর্মির কাপড়-জামা দিয়ে এলিয়েনরা ঘুড়ি বানিয়ে ওড়াচ্ছে আর সেনা বাহিনীর দামড়াগুলো উদ্যোম হয়ে দৌড়াচ্ছে ঘুড়ির পেছন পেছন, ঘেউ ঘেউ করে প্রধানমন্ত্রী চোখ বড়বড় করে তাদের ধমকে দিলেন, যাও তোরা নিজের চরকায় তেল দাও

প্রধানমন্ত্রীর ইষদউষ্ণ ঘিতে চুমুক দিতে দিতে তিনদিন অনেক ভাবলেন কিন' কোন কূল কিনারা পেলেন না এ কি হোলো রে! লোকে পড়াশোনার বই-খাতা, ধর্মগ্রন্থ, সরকারী দস্তাবেজ, প্রাচীন পুঁথি, বাড়ির দলিল, খবরের কাগজ সবকিছুই বানাচ্ছে রঙ-বেরঙের ঘুড়ি আর ওড়াচ্ছে বাজার রাস্তাঘাট সমস্ত ফাঁকা শুদু সেনা বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে কি দুর্ভোগ রে বাবা! তিনি ক্ষমতায় এসেই জটিল এক নদী চুক্তি করেছিলেন প্রতিবেশী দেশের সাথে নদী শুকিয়ে কি সুন্দর সুন্দর সব চর গজিয়েছিল, আহা ভেবেছিলেন ডিজিটাল হাব করবেন সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁস এদের সইবে কেন? চরে গেছে ঘুড়ি ওড়াতে, ফালতু ঝামেলা।
আকাশের সেই অদভূত রূপ দেখে মন্ত্রীরা সব কবি হয়ে গেল, ঘুড়ির নাম দিতে লাগল; পেটকাটি, চাঁদিয়াল, বগ্গা তাও হেলিকপ্টার রাস্তায় হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে...

লেখাটি পুরো পড়তে ক্লিক করুন এইখানে
লেখাটি আমার বেশ পছন্দের যদিও একটি পত্রিকায় প্রকাশ পায়নি, আজও জানি না কেন? শেষে প্রকাশিত হয়েছে সাপলুডুতে। সঙ্গের ছবিটি আমার তোলা পদ্মার চরে ঘুড়ি উৎসবে, যদিও বলে দেওয়াই ভাল তার সঙ্গে এই লেখার মিল খোঁজা উচিত নয় একেবারে। এটিও থাকবে নতুন বইটিতে।

No comments: