সম্পূর্ণ গল্পটি পড়তে এইখানে ক্লিকান
গল্পটি প্রকাশিত গুরুচন্ডা৯'র পুজোইস্পেশাল- ২০১০, বাহন-কাহন-এ।
ছবি- সায়ন কর ভৌমিক সারা রাজ্যে ঢেড়া পেটান হোল। বিজ্ঞাপন দেওয়া হল সমস্ত প্রথম শ্রেনীর দৈনিকে, দরকার হলে টিভিতেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে, কমিটি রেডি। রিপ্লাই আসতে লাগল ফটাফট। এক সপ্তাহে যা সব সাজেশন এল সব দেখে রাজার চক্ষু চড়কগাছ। সাপের ছোবল, কাঠখোলায় ভাজা টিকটিকির ল্যাজ, পাঁউরুটিতে আয়োডেক্স, ডেনড্রাইট! এই তাদের মেয়ে বড় হয়ে রাজকন্যা হবে না নামজাদা ইঞ্জিনিয়ার? নাহ, এই ভাবে হবে? দিন খামোখা চলে যাচ্ছে। রোজ রাতে স্বপ্নে হানা দিচ্ছে বিদঘুটে এক মিশমিশে জঙ্গল, স্মেলে বাঘ আর ভাল্লুক। ইস একটা নতুন শখ খুঁজে পাওয়া যাবে না? মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে বলিউডের এক নামজাদা প্রোডাকশন ম্যানেজারকে আনলেন উড়িয়ে, রানীর পরামর্শে। রানী ছিলেন সমস্ত সিনেমার ম্যাগাজিনের পোকা, অন্যদিন থেকে আনন্দলোক। তিনি জানতেন প্রোডাকশন ম্যানেজাররা গোরুর গাড়ি থেকে বাঘের দুধ সব জোগাড় করতে ওস্তাদ। এই বার দেখা যাক ওস্তাদের কেরামতি। ওস্তাদ উড়ে এসেই রানীর সঙ্গে টানা সিটিং করলেন ছয় রাত্রি সাত দিন। রানীর যে আইডিয়া, যে জিনিসেরই কথা বলেন সবই নাকি সেলিব্রিটিদের আগে থেকেই আছে। কার কুকুরের হাসপাতাল আছে, কার পোষা সিংহ আছে, কে রাতে গাড়ি করে রাতে ফুটপাতে ঘুমন্ত মানুষদের মারে, কে প্রতিমাসে প্রেমিকা বদলায়। শুনতে শুনতে রানীর মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। ভাগ্যিস হাবলা রাজাটা শোনেনি, তাহলে মাথা আউলে এখনই দৌড়াত জঙ্গলের দিকে। তার নিজেরই এখন পাগল পাগল দশা। টানা সাতদিন স্নান নেই খাওয়া নেই, বেশ-ভুষা আউলা। রানীর মরার সময় নেই, শুধু প্রোডাকশন ম্যানেজারের পায়ে ধরতে বাকি, আপনি যা চান তাই দেব, শুধু একটা নতুন শখের কথা আমাদের বলুন। প্রোডাকশন ম্যানেজার বুঝলেন তার আর নিস্তার নেই। ইমিডিয়েট একটা আইডিয়া না এলে তাকে আর বেঁচে ফিরে যেতে হবে না।
ছবিটি এঁকেছেন- সায়ন কর ভৌমিক